১৩২০ মেগাওয়াট বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সুপার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প (বিআইএফপিসিএল) এর কয়লা পরিবহন কার্যক্রমের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক সমীক্ষালব্দ প্রভাব সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা আজ মঙ্গলবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড জিও ফিজিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) সমীক্ষাটি চূড়ান্ত করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সিইজিআইএস’র সমীক্ষায় বলা রামপাল বিদ্যুকেন্দ্রে অত্যাধুনিক পানি পরিশোধন প্রযুক্তির মাধ্যমে দূষিত তরল নির্গমন কমানো হবে। এ প্রকল্পে ক্লোজড সাইকেল কুলিং ওয়াটার সিস্টেম অন্তর্ভূক্ত থাকবে, ফলে নদীতে নির্গত পানির পরিমাণ হবে অত্যন্ত কম। এ কেন্দ্রে কয়লা থেকে উৎপন্ন শতভাগ বটম অ্যাশ এবং ফ্লাই অ্যাশ উভয়ই শুকনো অবস্থায় সংগ্রহ করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং সেগুলো উপযুক্ত কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আনা-নেয়া ও ব্যবহারে স্থানীয় প্রতিবেশের ওপর প্রভাব কমানোর বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমদানিকৃত কয়লা সমুদ্র পথে সম্পূর্ণ আবৃত অবস্থায় বৃহৎ আকারের জাহাজ থেকে চ্যানেলে পৌঁছাতে লাইটারেজ নৌযান ব্যবহার করা হবে। কয়লা পরিবহনের জন্য পশুর চ্যানেলকে রুট হিসেবে বিবেচনার সুপারিশ করা হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন আমাদের গর্ব, এর ক্ষতি হবে এমন কিছুই আমরা চাইনা। সরকার দেশের কল্যাণে বৃহত্তর স্বার্থে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এমন কিছুই সরকারের পরিকল্পনার অংশ হতে পারে না। তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে এবং দেশের উন্নয়নে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা পরিবহন করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। এতে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাস এবং খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মলি¬ক আনোয়ার হোসেন । মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালিক আবদুল¬া খান ফিদা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিআইএফপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কাšিত ভট্টাচার্য। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির প্রমুখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ