সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকাগুলোতে একের পর এক গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার পাশেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, এলপিজিপ্ল্যান্ট, খাদ্যগুদামসহ প্রায় দেড় শ’ শিল্প প্রতিষ্ঠান সুন্দরবনের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন রক্ষা করার জন্য দরকার জন-সচেতনতা ও নীতি নির্ধারকদের সংবেদনশীলতা।
আজ খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্লিন’র প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)-সহ সংলগ্ন ভূমিতে দেড় শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে বা হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তেলবাহী ট্যাঙ্কার, গম, সার ও কয়লাবাহী জাহাজডুবির কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব নিয়ে নানারকম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরপর যত্রতত্র অপরিণামদর্শী দুষণকারী শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হলে সুন্দরবনের উপর তার অমোচনযোগ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় দ্রুততর সময়ের মধ্যে পরিবেশ আইন, বন আইন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বক্তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ শিল্প-কারখানা নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ করার দাবি জানান।
সুন্দরবনের গুরুত্ব ও অপরিহার্য্যতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ দিন-ব্যাপী ‘বাদাবন সপ্তাহ’ ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাদাবন সপ্তাহে সুন্দরবন বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও লোকগানেরঅনুষ্ঠান থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার ফিরোজউদ্দীন, অপরাজেয়-বাংলাদেশ’র মাহবুব আলম প্রিন্স, ইয়েস’র সুস্মিত সরকার, কামাল হোসেন, মুসলিমা খাতুন, লুৎফুন নাহার রিতু, ক্লিন’র নাসিম রহমান কিরন, সুবর্ণা ইসলাম দিশা প্রমূখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ