খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আজ রাত ৮টায় খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জেলার পাঁচ জন গুণী ব্যক্তিকে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০১৫’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, শুদ্ধ সংস্কৃতিক চর্চা ও প্রতিভার বিকাশে শিল্পকলা একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। বাঙ্গালির সংস্কৃতিক বিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গুরুজনদের মূল্যায়ন না করলে গুণিজন তৈরি হয় না। তাদের সম্মান করতে হবে। এ সম্মাননার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে এবং প্রতিভার বিকাশ ঘটবে। সাংস্কৃতিক চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সকল ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। সে স্বপ্ন সকলে মিলে বাস্তবায়ন করতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিন্টু।
পাঁচ ক্যাটাগরিতে স¤মাননা প্রাপ্তরা হলেন, নাট্যকলায় বিমল কৃষ্ণ মজুমদার, কন্ঠসঙ্গীতে শেখ আবদুস সালাম, নৃত্যকলায় খাজা হোসেন আহমদ, যন্ত্রশিল্পে গুরূপদ গুপ্ত এবং যাত্রাশিল্পে রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সম্মাননা প্রাপ্তদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ