সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত : একুশে টিভিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক আফাজউদ্দিন বিপ্লবকে কর্তৃপক্ষের চাকরিচ্যুতির জন্য জারি করা আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত ঘোষণা করেছেন শ্রম আদালত। একইসঙ্গে তার পাওনা ও সকল সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে স্থায়ী করতে এবং কেন স্থায়ী করা হবে না তা জানতে চেয়ে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, একুশে টিভির চেয়ারম্যান বোর্ড অব ডাইরেক্টর ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচজনকে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এর কারণ দর্শাতে হবে।

যাদেরকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে তারা হলেন- চেয়ারম্যান বোর্ড অব ডাইরেক্টর (একুশে টেলিভিশন), ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১, ব্যবস্থাপনা পরিচালক-২, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, কোম্পানির সেক্রেটারি এবং মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান।

আদালতের নির্দেশনা এবং জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, কর্মচারী আফাজউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে ৬ মাস সময় অতিবাহিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ তার চাকরি স্থায়ী করবেন, কিন্তু তার চাকরির মেয়াদ ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তাকে স্থায়ী না করে এক আদেশের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

প্রার্থীর পক্ষ থেকে আনা অভিযোগ ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকল নথিপত্র পর্যালোচনা করে বিচার প্রার্থীর প্রতি দেওয়া একুশে কর্তৃপক্ষের আদেশ স্থগিত এবং তার সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে চাকরিতে স্থায়ী করতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে নোটিশ পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

জানা গেছে, আফাজউদ্দিন বিপ্লব যোগদান করার পর প্রবেশনারী (শিক্ষানবিশ) হিসেবে ৬ মাস চাকরির পর তাকে স্থায়ী করা হবে মর্মে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়োগ পত্র দেয়। নিয়োগ পত্র পাওয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি একুশে টিভির অফিসে কর্মচারী (সাংবাদিক) হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন বিপ্লব।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী আফাজউদ্দিন বিপ্লব চলতি বছরের ১০ জুলাই দেকে একুশে টিভির (প্রতিষ্ঠানের) স্থায়ী কর্মচারী হবেন। কিন্তু একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ না দিয়ে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে মর্মে কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করে অন্য কোথাও চাকরি খোঁজার সুযোগ দিয়ে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি টিঠি দেয়।

পরে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের শ্রম-আইন ২০০৬ সালের ২১৩ ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালের ২০১৬(১)(ছ) ধারায় আফাজউদ্দিন বিপ্লবের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগ পর্যালোচনা করে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

 

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *