মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে আরো জোরদার করতে হবে। মানুষের জীবন রক্ষা, সম্পদ সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনে অধিকহারে বৃক্ষরোপণ করা জরুরী।
তিনি আজ সকালে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৭’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বৃক্ষরোপণ অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য: ‘বৃক্ষরোপণ করে যে, সম্পদশালী হয় সে’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণসহ প্রতিটি সেক্টরে গুরুত্ব দিচ্ছে। কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে বৃক্ষই আমাদের বাচিঁয়ে রাখতে সহায়তা করে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন যা আমরা গাছ থেকে পাই, এজন্য বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি বলেন, বৃক্ষ নিধন থেকে বিরত থাকতে হবে। আগের তুলনায় মানুষ এখন বেশি বৃক্ষরোপণ করছে। বন ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের নানামূখী কর্মসূচি প্রণয়নের ফলে দেশে গাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি পরিত্যাক্ত ও খালি জায়গায় গাছ লাগাতে হবে। সকল মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং ১টি গাছ কাটলে কমপক্ষে ৩টি গাছ লাগাতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপপুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুল রহমান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মোঃ আবু হেনা ওয়াহিদুল করিম, বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় বন অফিসার মোঃ বশির উল আল মামুন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন নার্সারী মালিক সমিতির সহসভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ। পরে তিনি সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গণে বৃক্ষমেলা উদ্বোধন করেন।
এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ নেতৃত্বে খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক হতে র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ অংশ গ্রহণ করেন। খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-এর যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের স্টলসহ মেলায় মোট ৫২টি স্টল রয়েছে। এছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রয়েছে ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ