খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসা সংবর্ধনা আর ফুলেল শুভেচ্ছায় এক আবেগঘন পরিবেশে দায়িত্ব মেয়াদ শেষ করলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগের আগে আজ বিকলে সাড়ে তিনটায় সৃষ্টি হয় অভূতপূর্ব দৃশ্য। শেষ মুহূর্তেও শুভেচ্ছা জানাতে শিক্ষক কর্মচারি শিক্ষার্থী ও শুভাকাংঙ্খী মহলের দীর্ঘ সারি উপাচার্য বাংলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পর্যন্ত তাঁর সাথে বিদায় জানাতে যান।
অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। খুলনা বিশ্ব¦বিদ্যালয়ের ইতিহাসে ইতিপূর্বে কোনো উপাচার্যের কর্মমেয়াদের শেষ সময়ে এমন নজীর দেখা যায়নি। সফল উপাচার্য হিসেবে সকল মতপথের উর্ধে সর্বমহলের প্রসংশা, শ্রদ্ধা ভালোবাসার এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তিনি সৃষ্টি করলেন নতুন ইতিহাস। আজ সকাল থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা শিক্ষক,সকল স্তরের কর্মচারী , শিক্ষার্থী ও শুভাকাংঙ্খী মহলের ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল ১০টায় কর্মব্যস্ততার মধ্যেও পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে তিনি যোগদেন। এরপর সকাল ১১ টায় ডিন, পরিচালক, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দের সাথে মিলিত হন। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন এবং তার কর্মমেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সভায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে উপাচার্যের অনবদ্য অবদানের কথা স্বীকার করেন। দুপুর ১২ টায় সকল স্তরের কর্মচারীরা সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। এসময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, রেজিষ্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক খান মোঃ অলিয়ার রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) শেখ শারাফাত আলী, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী আকবর, উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল এবং কর্মচারিদের মধ্যে মোস্তফা আল মামুন প্রবাল, অমিতাভ মিস্ত্রি, রমা দাস, আব্দুল কাদের, রবিউল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন উপাচার্য হিসেবে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন অধ্যায় ও সংস্কৃতি চালু করে গেলেন। আর তা হচ্ছে তার সততা নিষ্ঠা ও সবাইকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা।
সংবর্ধনার জবাবে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে সবার সহযোগিতামূলক অংশগ্রহণের ওপর। মানুষের মানবিক দিকই হলো সবচেয়ে বড়ো বিষয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার চিরকাল আত্মিক সম্পর্ক থাকবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি ও উন্নতি সুনাম ভাবমূর্তি সবকিছুই আমাকে আনন্দিত করবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের প্রতিষ্ঠান হিসেবে, দেশের প্রতিষ্ঠান মনে করে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করে এর অগ্রগতির ধারা অব্যাত রাখার পরামর্শ দেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার মঙ্গল কামনা করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ