আরবান স্লাম চিলড্রেন এডুকেশন’র ইনডাকশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

বেসরকারী সংস্থা ইনসিডিন বাংলাদেশ ও অগ্রগতি সংস্থার উদ্যোগে আজ খুলনা সার্কিটহাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আরবান স্লাম চিলড্রেন এডুকেশন’র ইনডাকশন ওয়ার্কশপ।

প্রগ্রামটি বাংলাদেশ সরকারের রিচিং আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেইজ-২ প্রকল্পের আওতাধীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব, প্রকল্প পরিচালক রস্ক ফেইজ-২, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ড. এম, মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিটি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনতে হবে, এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। আর সে কারণেই অতিদরিদ্র পরিবার এবং প্রাথমিক স্কুল থেকে ঝরে পড়া যে সকল শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তাদের শিক্ষা নিশ্চিৎ করতেই রস্ক প্রকল্প। তিনি বলেন, এটি একটি মহৎ প্রকল্প। তিনি প্রকল্পের সাথে জড়িত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এ প্রকল্পের সাথে জড়িত তাদেও সততা ও নিষ্ঠার উপর এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। কোন প্রকার অনিয়মকে সহ্য করা হবে না।

অন্যান্যের মধ্যে ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নুরুজ্জামান মল্লিক বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হ’ল ২০১৭ সারের মধ্যে দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশন এলাকার হতদরিদ্র ও প্রাথমিক স্কুল থেকে ঝরেপড়া ৫০ হাজার শিশুকে এ প্রকল্পের আওতায় এনে তাদেও প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিৎ করা। সরকারী তথ্য অনুযায়ী বিদ্যমান ব্যবস্থায় দেশের প্রায় ২০ শতাংশ শিশু এখনও প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে আছে যাদেও প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানে সরকার বাধ্য ও বদ্ধপরিকর।

সেভ দ্য চিলড্রেন’র উপ-পরিচালত জগলুল হায়দার বলেন, বিভিন্ন বাস্তবতায় আনুষ্ঠানিক স্কুলগুলি থেকে শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিৎ করতে রস্ক প্রকল্প যে স্কুলগুলি চারু করেছে তার নাম হ’ল আনন্দ স্কুল। এ সকল স্কুলের বিশেষ বৈশিষ্ট হ’ল প্রত্যেকটি আনন্দ স্কুলে একটি করে ক্লাব আছে যেখানে তাদেও বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা আছে, যা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী হতে উৎসাহ দেবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত আনন্দ স্কুলগুলিতে শতভাগ বই প্রদান ণিশ্চিৎ করা এখনও সম্ভব হয় নি, তবে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে যাতে সকল শিশুকে তার প্রয়োজনীয় বই প্রদান করা সম্ভব হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিভাগীয় উপ-পরিচালক,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা, মোঃ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের সাথে জড়িত সকলে চেষ্টা করলে অবশ্যই সফর হওয়া সম্ভব হবে। আর মনে রাখতে হবে প্রকল্পের একটি টাকাও অপচয় বা মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে নষ্ট না হয়, কারণ এটা জনগণের টাকা, নষ্ট হওে ১৬ কোটি মানুষের কাছে অপরাধী হতে হবে।

আরও বক্তৃতা করেন, অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সবুর, প্রকল্পের সুপারভাইজার মাসুদ আহমদ, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বনি, মহিলা কাউন্সিলর রোকেয়া ফারুক প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রস্ক প্রকল্পের আওতায় থুলনা মহানগরীতে হতদরিদ্র পরিবার ও প্রাথমিক স্কুর থেকে ঝরেপড়া শিশুদেও প্রাধমিক শিক্ষা নিশ্চিৎ করতে ইতমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৭টি ওয়ার্ডে ৩১টি আনন্দ স্কুল। স্কুলগুলিতে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে ৪০২০ জন শিক্ষার্থী। স্কুলগুলি সরকারী তত্ত্বাবধানে পরিচারনা করছে বেসরকারী সংস্থা ইনসিডিন বাংলাদেশ ও অগ্রগতি সংস্থা।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *