খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বৈশাখী মেলা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। পহেলা বৈশাখ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান নগরীর শিববাড়ী মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।
পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে ময়লাপোতা মোড় হয়ে রয়্যাল চত্বরে গিয়ে বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, ডিনবৃন্দ, পরিচালক, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং কমিটির সদস্য-সচিব, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
নানা রংয়ের ফেস্টুন, হাতি, ঘোড়া, কাকাতুয়াসহ বর্ণিল সাজের সাথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাসহ শোভাযাত্রাটি রয়্যাল মোড়ে এসে পৌঁছিলে উপাচার্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রাটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
তিনি সাফল্যের সাথে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি আয়োজন ও তাতে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিটিউট, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মচারি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নিরাপত্তা শাখা, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের এ উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ পহেলা বৈশাখের এই অনুষ্ঠানে। আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কৃষ্টি বাংলা নববর্ষের মাধ্যমে প্রবাহমান। এরই ধারাবাহিকতায় জীবনের আগামীদিনগুলো যাতে সুন্দর ও সাফল্যের সাথে অতিবাহিত হয় সেই আশা করেন।
এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব বেলা ২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে দলে দলে মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে থাকে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মেলা সমাপ্ত হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ