খুলনায় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক এক সেমিনার আজ সকালে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্ল্যা। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: গিয়াস উদ্দিন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহায়তায় খুলনা জেলা প্রশাসন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ডিজিটালাইজেশনে সরকারের বহুমূখী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সেমিনারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রুপসা উপজেলা প্রশাসনের সহকারী প্রোগামার মো: আবুজর রহমান।

সেমিনারে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এজেন্ডা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নজির এখন প্রতিটি সেক্টরে।৯ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেলা উদ্বোধনের বিষয়টি ছিল তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের অন্যতম দৃষ্টান্ত।সকল পর্যায়ে সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগে  জনগণের সম্পৃক্ততা বিশ্বের কাছে যেন বিস্ময়।এদেশে ১২০ মিলিয়ন মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সদস্য বাড়ছে।দেশের ৫৮টি মন্ত্রনালয় ২২৭টি ডিপার্টমেন্ট ৬৪ জেলা ৪৮৭টি উপজেলা এবং ১৮ হাজার ১৩০টি সরকারি অফিসে অপটিকাল ফাইবারের কানেকশন রয়েছে।ই-এগ্রিকালচার, ই-অফিস ম্যানেজমেন্ট আর আইসিটি নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য যেন রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে মাত্র কয়েক বছর আগের গতানুগতিক জীবন যাপনের ধারা| সারা দেশে ৮০০টি পয়েন্টে ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম চালু করা হয়েছে ।

নারীর ক্ষমতায়নে রয়েছে সরকারের অসংখ্য উদ্যোগ। সব নারীরা এমনকি ঘরে অবস্থানরত নারীরাও যাতে উপার্জনে সক্ষম হতে পারে তারই আরেকটা দিক আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান।সরকার মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার নারীকে আগামী ৩ বছরে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবে।সরকারি কর্মচারিদের ২৫০০০ ট্যাবলেট পিসি প্রদান করা হয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৫৪৪টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার পাওয়ার পয়েন্টে পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অপরাধী গ্রেফতার, পাসপোর্টের আবেদনপত্র ভেরিফিকেশন, নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্য প্রদান, সিডিআর এর মাধ্যমে মোবাইল ট্রাকিং ইত্যাদি বিস্তারিত বর্ণনা করেন। বিডি পুলিশ হেল্প লাইন এ্যাপস ব্যবহার করে যে কোন নাগরিক যে কোন সময় তথ্য দিতে পারবেন। এতে সব পুলিশের অফিশিয়াল নম্বর পাওয়া যাবে। বর্তমানে পুলিশ বিভাগের ডিজিটাল পদ্ধতির নানাবিধ প্রয়োগ জনসেবাকে সহজ করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *