নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড প্রদানের সূচনা যেন ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। শুধু তাই না স্মার্ট কার্ড হলো প্রতিটি নাগরিকের আত্মমর্যাদাবোধের প্রতিফলন।
তিনি আজ দুপুরে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে খুলনাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে একজন মানুষের তথ্য এমনভাবে সন্নিবেশিত করা থাকে যা তাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এটি শতভাগ পলিকার্বনেটেড। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। লেজার খোদাই করে ব্যক্তিগত তথ্য ছাপানো হয়েছে যা পরিবর্তন সম্ভব নয়। এতে একই ব্যক্তির একাধিক ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার সম্ভব না। বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রতিটি কাজে পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হওয়ায় স্মার্ট কার্ডের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং উপযুক্তভাবে এটি সংরক্ষণ করার বিষয়ে সবার মাঝে গণসচেতনতা গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আস্থা অর্জনে নির্বাচন কমিশন তৎপর। কোন রকম বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, কেসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোখলেসুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুব হাকিম । খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় স্মার্ট কার্ডের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও আইডিইএ’র প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাইদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোস্তোফা ফারুক।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে স্মার্ট কার্ড সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে ক্রমানুযায়ী সংসদীয় এলাকাতে বিতরণ করা হবে। তিনটি স্তরে ২৫টির অধিক নিরাপত্তা সম্বলিত এ স্মার্ট কার্ড দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই, যা সহজে নকল করা সম্ভব নয় । এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের এ্যাপ্লিকেশন (এপিপিএস) চালানো যায়। মেমোরি চিপ ২ডি বারকোড মেশিন রিডেবল জোন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি খুলনার ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক’র মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ