আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনা জেলা পর্যায়ের ৫ জন এবং সিটি কর্পোরেশন থেকে ২ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা জেলা প্রশাসক বলেন, মায়েদের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বিভিন্ন ধর্মে যুগে যুগে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। নারীদের যোগ্যতা যেকোন অর্থেই তুলনাহীন বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বেশী। সরকার নারীদের যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দিতে জয়িতা নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে নারীরা আরও বেশি সামাজিক প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন। খুলনাতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ইতোমধ্যে নারীদের জন্য পৃথক নামাজ পড়ার ব্যবস্থা, প্রসাধনী সহ ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া একটি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে যেখানে সিসিটিভির মাধ্যমে মায়েরা নিজস্ব মোবাইলে সার্বক্ষণিক সন্তানকে দেখার সুযোগ পাবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পিআইডি’র সিনিয়র তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের পিপি অলোকা নন্দা দাস, সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান এবং ২০১৪ সালে জয়িতা নির্বাচিত মুর্শিদা জব্বার রনি। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নার্গিস ফাতেমা জামিন।
খুলনা জেলা থেকে পাঁচ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন- ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্যাটাগরিতে দিঘলিয়া উপজেলার হাসনা তারা বেগম, ‘শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্যাটাগরিতে রূপসা উপজেলার নাছিমা খাতুন, ‘সফল জননী নারী’ ক্যাটাগরিতে ফুলতলার রাজিয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা দিঘলিয়ার বিলকিস আক্তারী এবং ‘সমাজ উন্নয়নে’ অসামান্য অবদান রাখায় দাকোপ উপজেলার চম্পা মন্ডল। খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে ‘সফল জননী নারী’ ক্যাটাগরিতে খালিশপুরের ফাতেমা খাতুন এবং ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ বিন্দু রাণী শর্মা।
অনুষ্ঠানের পরে প্রধান অতিথি খুলনা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের জন্য একটি টিভি প্রদান করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ