খুলনা বিভাগ ভিক্ষুকমুক্তকরণ সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

3-4-2017

‘খুলনা বিভাগ ভিক্ষুকমুক্তকরণ সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্স’ ৩মার্চ সন্ধ্যায় খুলনা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ, জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন এসডিজি’র মূখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ’র সাথে সংযুক্ত হন। এসময় এসডিজি’র মূখ্য সমন্বয়ক ভিভিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের নয়টি জেলার জেলা প্রশাসকগণের সাথেও সংযুক্ত হন।

 খুলনা বিভাগ ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচির নানাদিক উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ বলেন, ভিক্ষুকদের পূর্ণবাসন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের প্রতিটি জেলায় একযোগে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ২১ হাজার ভিক্ষুককে চিহ্নিত করা হয়। তিনি জানান, আশ্রয়হীণ লোকদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি আনন্দভূবন নামে আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এসডিজি’র মূখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ’র প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, যেহেতু ভিক্ষা বৃত্তি লজ্জাকর এবং মানুষের মর্যাদা পরিপন্থী পেশা। ভিক্ষুকদের কাছে সরকারের সুযোগ সুবিধা সরাসরি পৌঁছায় না, তাই তাদের স্বাবলম্বী করতে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন দারিদ্রবান্ধব কর্মসূচি, ভিজিডি, একটি বাড়ি একটি খামার ও যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে তাদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান খুলনা জেলার চিত্র উল্লেখ করে বলেন, এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় মোট ১৭ হাজার ৬শ জন অন্ধ, বিকলাঙ্গ ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সহৃদয় ব্যক্তিসহ সরকারী অফিসারদের এক দিনের বেতন দিয়ে এ ফান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। হাঁস-মুরগি পালন, পিঠা,চা বিক্রিসহ পছন্দ মতো কাজে নিয়োজিত হওয়ার জন্য তাদের এ অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। যারা  একেবারেই অদক্ষ কিংবা অচল তাদের জীবন ধারণে সহযোগিতার জন্য রেশন কার্ড দেয়া হয়ে থাকে।

 উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মধ্যে দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণে ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরণের গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সমাজে অনেকের মাঝে “সওয়াবের” আশায় ভিক্ষা দেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।

 এসময় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম, এ্যাডিশনাল ডিআইজি একরামুল হাবিব, খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডলসহ জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের অফিসার ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *