নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মাদক যুব সমাজের জীবনীশক্তি ধ্বংস করছে। যুব সমাজসহ আমাদের সকলকে মাদকের, জঙ্গীর, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রী আজ দুপুরে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন খুলনা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে ও উন্নয়ন হবে। আমরা খাদ্য ঘাটতি পুরণ করে বর্তমানে খাদ্য, পোষাক ও জাহাজ রপ্তানী করছি। আর পাকি¯তানীরা রপ্তানী করছে জঙ্গী। এজন্যই পাকি¯তান হচ্ছে সন্ত্রাসী দেশ। আগামীতে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীতে যে ৩০টি দেশ শীর্ষে অবস্থান করবে বাংলাদেশ সেই অবস্থানে চলে যাবে। এটা এখন আšতর্জাতিকভাবে বলা হচ্ছে। তিনি বর্তমান সরকাকে হচ্ছে শ্রম বান্ধব সরকার হিসেবে উলে¬খ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্যই দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মজুরী বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে শ্রমিকের মজুরী সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশদের ভাতা দ্বিগুণ করে বর্তমানে ৩০০০/৩৪০০টাকা করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশদের সপ্তাহে এক দিন থানায় হাজিরা দেয়ার জন্য যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা তিনশ টাকার আদেশ ইতোমধ্যে জারী হয়েছে। তাদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়ার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, এগুলো প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। মন্ত্রী আধুনিক গ্রাম পুলিশ হিসেবে গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, সাবেক এসপি বীরবিক্রম মাহবুব উদ্দিন, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল¬াহ এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন । অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক শাহ জাহান কবির জহীর, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন খান এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার মো¯তফা কামাল। সম্মেলনে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিপুল সংখ্যক গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে মন্ত্রী বিআইডবি¬উটিএ ও বিআইডবি¬উটিসি’র জায়গা পরিদর্শন, সাড়ে তিনটায় খুলনা সার্কিট হাউসে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা কমিটির ১৩তম সভায় যোগদান, সন্ধ্যায় খুলনা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে কর্মীসভায় যোগদান এবং রাত আটটায় ডুমুরিয়া উপজেলার বান্দা গ্রামে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ