বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০১৭ ‘এ’ ব্যাচের ৭৬৬ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ ২২মে খুলনাস্থ নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, বিসিজিএম, এনডিসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও আকর্ষণীয় মার্চপাস্টের সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতি নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর ২০১৭ ‘এ’ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মোঃ তানভীর ডিই/ইউসি/ইউটি পেশাগত ও সকল বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌ প্রধান পদক’ লাভ করেন। এছাড়া মোঃ জুবায়ের রশিদ অনিক, ডিই/ইউসি/ইউটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মোঃ রাসূল কিবরিয়া, ডিই/ইউসি/ইউটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করে।
নৌবাহনী প্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে তার ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সেইসাথে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ্রগ্রহণকারী বীর নৌসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা এবং পরবর্তীতে তার সুযোগ্য উত্তরসূরী বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের ক্রমাগত অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সামরিক বাহিনী এবং সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর সক্ষমতাও বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে নবযাত্রা ও জয়যাত্রা নামক দুটি আধুনিক সাবমেরিন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও বলেন,আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি নৌবহরে এই সাবমেরিন সংযোগ নিঃসন্দেহে নৌবাহিনীর জন্য এক অভাবনীয় অর্জন যা আমাদের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া নৌবাহিনীর ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রীঘ্রই আরও দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও দুটি এসডব্লিউ নৌবহরে সংযোজিত হতে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরিশেষে তিনি নবীন নাবিকদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে নিজেদের আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। একইসাথে তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য নাবিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং সেই শিক্ষাকে ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব , সীমাšতরক্ষা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (পার্সোনেল), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, খুলনা ও যশোর এলাকায় পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারিগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ এবং নবীন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ