বে-পরওয়া দুর্নীতি চলছে আবার তা প্রতিরোধের নামে পুরস্কার প্রদানও চলছে

দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক’র কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শৈশব থেকেই শিশুদের মনে দুর্নীতির কুফল এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজের সুফলের ধারনা দিতে পরিবার ও বিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ১৭ মে দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

যদিও সাধারণ মানুষ মনে করে যে এ দেশে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত আছে সরকারী আমলাদের মাধ্যমে সরকারী অফিসে যার সাথে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই, তাই সাধারণ মানুষের কোনো কমিটি সরকারী আমলা ও তাদের অফিসের দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্পূর্ণ অক্ষম।

দুদক কমিশনার বলেন, বর্তমানে দুদককে  ঢেলে সাজানো হয়েছে। কমিশনের কাজের মান বাড়াতে অফিসারদেরদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির অনুসন্ধান বাড়াতে গোয়েন্দা সেল গঠনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজরা কখনই জনগণের চেয়ে শক্তিশালী নয়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কমিয়ে আনতে অফিসারদের সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব নয় বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, এডিশনাল ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান বিপিএম ও দুদক পরিচালক (প্রতিরোধ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা দুদকের পরিচালক  ড. মো. আবুল হাসান।

পরে দুদক কমিশনার শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মোট ৮০টি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *