সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সহযোগীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সহযোগীদেরকে শাস্তি পেতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তারা কেউ শাস্তি এড়াতে পারবে না।

মন্ত্রী ১ আগস্ট সন্ধ্যায় খুলনা ফুলতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ফুলতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খুলনা কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের রাজনৈতিক মুক্তির সাথে সাথে অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা তারই যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেছে। গত দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতা পরবর্তী  ত্রিশ বছরেও হয়নি। কিন্তু এই উন্নয়ন অনেকের সহ্য হয় না, তাই তারা নির্বাচন চায় না, তারা তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামূখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৪৭০টি উপজেলায় যেমন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশের সকল যুদ্ধস্থলে একই ডিজাইনের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের  ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা সকল সরকারি যানবাহন এবং সরকারি হাসপাতালে ফ্রি সেবা পাবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কথা পঠ্যপুস্তকে ও বিসিএস পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান এবং মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী জাফর আহমেদ। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা ও উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই তিনতলা কমপ্লেক্স ভবনের মোট আয়তন ৪,৩৫৬ বর্গফুট যেখানে ৮টি বাণিজ্যিক দোকান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস, লাইব্রেরী কাম জাদুঘর ও সম্মেলন কক্ষের ব্যবস্থা রয়েছে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *