নিরাপত্তা সম্পর্কে সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও জানমালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভাগীয় আলোচনা সভা ১৮ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।
সভায় খুলনা জেলা ভিক্ষুকমুক্তকরণ, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন, মসজিদের ইমামদের ভূমিকা, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, সার্কিট হাউজ, কালেক্টরেট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ অব্যাহত রাখা এবং সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভিক্ষুকমুক্তকরণ ও পুনর্বাসন, জঙ্গিবাদ দূরীকরণ, বাল্যবিবাহসহ লেখাপড়ার উৎসাহ বাড়াতে মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারীদের সঙ্গে ২৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে এবং খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। ক্ষতিকারক বিষমুক্ত আম উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আম উৎপাদনকারী জেলাসমুহ বিশেষ করে সাতক্ষীরা,যশোর,ঝিনাইদহ,চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় বেশি করে উদ্বুদ্ধকরণ সভা/ক্যাম্পিং করার আহবান জানান। দুর্ঘটনারোধে মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে ব্যবসায়ীদের সাথে পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোটরযানে বাম্পার,হুইলার,এ্যাঙ্গেল,ধারালো হুকসহ ব্যাটারী চালিত যানবাহন অপসারনে বিআরটিএ-এ্যাক্ট /মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জোরদার করার জন্য বলা হয়। রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা ও খাল-নদী পাড়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার পর দখলমুক্ত রাখতে রাস্তার সীমানা বরাবর পাকা পিলার বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষে সভায় জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান হয়।
সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, এ্যডিশনাল ডিআইজিসহ ১০ জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ ও বিভাগীয় পর্যায়ে উর্ধ্বতন কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ