খুলনায় ১৯ জুলাই উদ্বোধন হয় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র। সপ্তাহ পালন উপলক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে র্যালি, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
সকালে খুলনা জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মৎস্য সেক্টরে অনেক উন্নতি হয়েছে। মাছ, দুধ, ডিম, মাংস ও কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে দেশ। সকলের জন্য মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের তুলনায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। আভ্যন্তরীণভাবে মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান দখল করেছে এবং জিডিপিতে ৩.৫৭ শতাংশ মৎস্য খাত থেকে আসে। তিনি বলেন, মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে মাছ চাষ করতে হবে। ইলিশ মাছের উৎপাদনে যেমন বিপ্লব তেমনি অন্য মাছের উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে হবে। মাছে কোন রকম অপদ্রব্য প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা এই কাজ করে তারা জাতীয় শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক রণজিত কুমার পাল, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল অদুদ এবং খুলনা বিএফএফইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট সেখ মোঃ আব্দুল বাকী। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবু ছাইদ। অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার, খুলনা ফিস্ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি, মৎস্য চাষী সমিতি, চিংড়ি চাষী সমিতি এবং চিংড়ি হ্যাচারি মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন।
এর আগে প্রধান অতিথি খুলনা শহীদ হাদিস পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ