মিল নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খুলনার ফুলবাড়িগেটে অবস্থিত এ্যাজাক্স জুট মিলে শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে মিল চত্ত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মিলের সাধারণ শ্রমিক,সিবিএ ও নন সিবিএ নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
শ্রমিক নেতা বখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি পাট,সূতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সবুজ।
সভায় বক্তারা বলেন,মিলের বর্তমান মালিক সাবিল গ্রুপ তাদের ওয়াদা অনুসারে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪শ ৫০ জন শ্রমিকের সমূদয় বকেয়া পরিশোধ করেছে তারা। শীঘ্রই ৪২৯ জনের মধ্যে ১২৯ জনের ফাইনাল বিল পরিশোধ করা হবে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল এ্যাজাক্স জুট মিলের ফাইনাল বিল বন্ধ করার পায়তারা করছে। পূর্বের মালিক বুলবুল আহম্মেদ ও কাওসার জামান বাবলা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী পরিশোধ না করেই মিল বন্ধ ঘোষণা করেন। দূদকে তাদের নামে কয়েকটি মামলা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করছে না। ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে তারা। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান মালিক এমএ মান্নান তালুকদার এ পর্যন্ত শ্রমিকদের ১৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কারণ দেশে বন্ধ মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের নজির নেই। শীঘ্রই আরও এক কোটি টাকা বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হবে। এ অবস্থায় মিল নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন,যে কোন ষড়যন্ত্র কঠিনভাবে মোকাবেলা করা হবে। তারা সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত এক শ্রমিক নেতার বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে বলেন, সোনালী জুট মিলের মালিক ইমদাদুল হক বুলবুল ব্যাংকের ৪টি,চেক ডিজঅর্নারের ৪৩ টি এবং দূদকের একটি মামলার আসামী। তিনি মালয়েশিয়ায় বিলাসী জিবন যাপন করছেন আর এখানে শ্রমিকরা না খেয়ে মরছে। অবিলম্বে বুলবুলকে গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
শ্রমিক জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ওমর ফারুক মোল্যা,বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ মুরাদ,মোতালেব আকন,ইমরান মীর,সিবিএ নেতা মন্টু চৌধুরী,আঃ ওয়াদুদ,আজাহার আলী,ইউনুস হোসেন,হীরন মীর,মিজানুর রহমান,মমিন গাজী,রতন মোল্যা,আফজাল হোসেন,আলাউদ্দীন,আঃ ওহাব প্রমূখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ