আন্তর্জাতিক ডলফিন দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আজ সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী শুশুক মেলা। এই মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শুশুক ডলফিন থাকে যদি, ভালো থাকবে মোদের নদী।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, সুন্দরবন আমাদের গর্বের জায়গা। ১৯৯৭ সালে এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হয়েছে, কিন্তু এই বনের সংরক্ষণে আমরা সচেতন নই। সুন্দরবনের সাথে যাদের জীবন ও জীবিকা জড়িত তারা সচেতনতার অভাবে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে, অবৈধভাবে সুন্দরবনের ঐতিহ্য সুন্দরীকাঠ, গোলপাতাসহ অন্যান্য বনজ সম্পদ চুরি করে সুন্দরবনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে না পারলে কেবল মামলা করে এই বনকে সংরক্ষণ করা যাবে না। এই মেলা জনসচেতনতা বাড়াতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুন্দরবনে প্রধানত ইরাবতী ও গাঙ্গেয় ডলফিল বা শুশুক দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া আরো ১০ প্রজাতির শুশুক সুন্দরবন এলাকায় দেখা যায়। জলভাগে শুশুক বা ডলফিনের উপস্থিতি প্রমান করে এই এলাকায় জলজ প্রাণির বসবাসের উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান।
বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক মোঃ জাহিদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইউসিএন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রকিবুল আমিন এবং ইউএনডিপি’র প্রোগ্রম স্লেশালিস্ট আরিফ মোঃ ফয়সাল। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় বন অফিসার মোঃ মদিনুল আহসান। মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন গুরুত্বপূর্ণ জলজ প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য রক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর এ বি এম সারোয়ার আলম।
এর আগে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে মেয়রের নেতৃত্বে খুলনা সার্কিট হাউজ চত্ত্বর হতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাদিস পার্কে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগহণ করেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশ, গ্লোবাল এনভয়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি, আইইউসিএন এবং সিএনআরএস এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে। মেলা চলবে ৪ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ