উন্নয়নের ডাকে খুলনার গণমানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে নৌকা মার্কায় ভোট দিন স্লোগানে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল স্কুল ফ্রেন্ডস্ এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস মহিউদ্দিন আহমেদ মইন। তিনি বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে মহাজোট তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’’র ভ্রাতুষ্পুত্র ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ আবু নাসেরের দ্বীতিয় পুত্র ও জননেত্রী শেখ হাসিনা’র চাচাতো ভাই পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী নির্লোভ সৎ ও বিনয়ী মানুষ সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল।
তিনি বলেন, খুলনা একটি বিভাগীয় শহর হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে অতিতের সরকারগুলি কর্তৃক বঞ্চনার শিকার খুলনা হয়ে পড়েছিলো একটি মফস্বল শহর। এ অবস্থায় নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করলে দেখা যাবে যে খুলনার পরিবর্তন শুরু হয়েছে, শুরু হয়েছে খুলনার আধুনিকায়ন। বিগত বছরগুলিতে খুলনায় রূপসা সেতু, আধুনিক রেলষ্টেশন, শিল্পকলা একাডেমী, মোংলা ইপিজেড, খুলনা-মংলা রেলওয়ে সহ খুলনাকে ঘিরে ব্যপক উন্নয়ন শুরু হয়েছে, আর এ সব কিছুই শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে।
তিনি বলেন, এ বাস্তবতায় খুলনাবাসীর জন্য একটি অনন্য সুযোগ হ’ল সেখ জুয়েল’র মনোনয়ন। কারণ, তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহের পাত্র এবং বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন। এ অবস্থায় খুলনাবাসী যদি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে এবং আওয়ামী লীগ যদি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয় তবে সেখ জুয়েলের জন্মভূমি খুলনার উন্ন্যনের যে ধারা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছেন তা অব্যহত থাকবে এবং খুলনার যে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল শুধু শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ব্যক্তিত্বই নন ঐতিহ্যগত ভাবেই তিনি একজন দক্ষ রাজনীতিবিদও। সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ-বিত্ত নয় তিনি তার জীবন মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চান। তিনি বলেছেন, “আমি আমার জন্মস্থান খুলনা ও খুলনাবাসির উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমি আমার কর্ম দিয়ে জননেত্রী সেখ হাসিনার আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি, তাই আমাকে যদি খুলনাবাসি নির্বাচিত করে সুযোগ প্রদান করেন তা হলে খুলনার উন্নয়নে খুলনাবাসির স্বপ্ন হবে আমার স্বপ্ন।”
তিনি বলেন, খুলনার সবচেয়ে বড় সংকট হ’ল যুব সমাজের কর্মসংস্থানের অভাব। হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু স্থানীয়ভাবে তাদের জন্য কোন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, ফলে বেকারত্ব বাড়ছে যা পরিবারগুলোকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, তিনি যদি বিজয়ী হন তবে সকলের আগে তিনি খুলনার যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে জোর দেবেন, যাতে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে বেকারত্বের হাত থেকে মুক্ত হয়ে সমৃদ্ধ জীবন গড়ার সুযোগ পায়। আর এজন্য গড়ে তোলা হবে বিভিন্ন শিল্প কারখানা যেমন- আইটি, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, চামড়া শিল্প, যেখানে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, সেখ জুয়েল বলেছেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হ’ল খুলনা মহানগরীতে ছয় শতাধিক বস্তিতে কয়েক লক্ষ মানুষ সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত জীবন যাপন করছেন। আপনারা যদি তাকে ভোট দেন আর তিনি যদি বিজয়ী হন তবে তার সবচেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হবে বস্তিবাসির জীবন-মান উন্নয়নে দ্রুত কাজ করা এবং বস্তিবাসি ছেলেমেয়েদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, যাতে তাদের অথনৈতিক মুক্তি ঘটে, যা জননেত্রী সেখ হাসিনার আস্থাভাজন ও খুলনার মানুষের কল্যাণে নিবেদিত মানুষ হিসেবে তার জন্য কোন কঠিন কাজ হবে না, এবং যা হবে তার আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, সেখ সালাহ্উদ্দিন জুয়েল মাদক, ভূমিদস্যুতা আর চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন মাদক ব্যবসার সাথে বিন্দুমাত্র আপোষ নেই। খুলনাকে যে কোন মূল্যে মাদকের ছোবল থেকে মুক্ত করা হবে ইনশাআল্লা। খুলনা হবে মাদকমুক্ত খুলনা। আর এ জন্য খুলনায় ব্যবস্থা করা হবে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা যা সারাবছর চালু থাকবে। এর ফলে যুব সমাজ নেশা ছেড়ে খেলাধুলায় যুক্ত হবে এবং সুস্থ্য সবল দেহের অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি তৈরী হবে বিশ্বমানের পেশাদার খেলোযাড়, যা থেকে তারা সম্মান ও আর্থিক ভাবে লাভবান হতে সক্ষম হবে। সেই সাথে তিনি ঘোষণা করেছেন এ শহরে ভূমিদস্যু আর চাদাবাজদের কোন স্থান হবে না। তাদের সমূলে নির্মূল করা হবে তা সে যে দলের মানুষই হোক না কেন।
তিনি বলেন, সেখ সালাহ্উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, ২০০১ সালে আপনারা এই আসন থেকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচিত করেছিলেন কিন্তু তার বিনিময়ে তিনি খুলনাবাসীকে অপমান করেছিলেন, খুলনাবাসীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, কারণ নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরে একদিনও তিনি খুলনাবাসীর নিকট আসেন নি, আর খুলনার কি উন্নয়ন তিনি করেছিলেন তা আপনারা সকলেই অবগত আছেন, অথচ জননেত্রী সেখ হাসিনা খুলনাকে ঘিরে এক উন্নয়নের যজ্ঞ শুরু করেছেন। এই উন্নয়নকে যদি উন্নয়নের মহাযজ্ঞে পরিণত করতে হয় তা হলে আর একবার জননেত্রী সেখ হাসিনার দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বলেন, তিনি বলেছেন, তার বাড়ির দরজা সব সময় সকল মানুষের জন্য খোলা আছে। খুলনাবাসী যদি তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ীকরে কাজ করার সুযোগ দেয় তবে খুলনাবাসীকে সাথে নিয়ে খুলনাকে তিনি মনেরমত করে গড়ে তুলবেন, খুলনা হবে মেগাসিটি! তিনি বলেছেন, “খুলনাবাসীর জীবন-মান উন্নয়নে ও সকল অবস্থায় সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের জন্য কাজ করে যাবো যা হবে আমার আগামী দিনের একমাত্র পাথেয়। আমি আপনাদের দোয়া চাই এবং আপনাদের রায় নিয়ে আপনাদের জন্য কাজ করার সুযোগ চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজাউল কবির দুলাল, মিজানুর রহমান মানিক, এ্যাডঃ আরিফ মাহামুদ লিটন, শামিম আশরাফ শেলী, এ্যাডঃ এম এম সাজ্জাদ, মিজানুর রহমান মতিন, মাহামুদ আলম চৌধুরী ইকবাল, আব্দুস সালাম বাদশা, ইকবাল হোসেন বাবু, মুরশিদ আলম কাগজী, আবু জাফর, সাকিল আহমেদ, সাদিক পিন্টু, মোঃ শাহীন আক্তার, শরীফ ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ মোস্তাকিম লালু, জাহাঙ্গির,আলী আক্তার, কায়কোবাদ, রাজু, সোহরাব হোসেন মুন্না, আহমেদ মইন প্রমূখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ