ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে খুলনায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে খুলনাসহ সর্বস্তরে অবাঞ্ছিত এবং গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ।

আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মহানগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমান পলাশ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, ওর্য়াকার্স পার্টির নেতা মফিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম মোল্লা, গাজী মোশাররফ হোসেন, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. একেএম শামীম কচি, এস এম শামসুদ্দিন আহমেদ শ্যাম, এইচ এম তৌহিদ, শাহ মো. জাকিউর রহমান জাকির, দিলীপ রায় খোকন, আজম খান, মোস্তাক আহমেদ টুটুল, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, মো. আউয়াল হোসেন ছোটন, আব্দুর রহিম বাবু, ইউসুফ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, খান কবীর, মল্লিক নওশের, কাজী আব্দুল ওহাব, ইদ্রিস আলী, মো. রিয়াজ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, হায়দার আলী মোল্লা, শ্যামল দত্ত, মাহামুদুর রহমান রাজেশ, তাসদিকুর রহমান জয় সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এসময়ে বক্তারা বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ’৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত, রাজাকার আলবদর আলশামসদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত খুনী মোস্তাক সহ অন্যান্য খুনীদের আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেছে। ১/১১ এর জননেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রেখেছিলো। এমনকি ইত্তেফাকের কর্মচারী আব্দুল মান্নান হত্যার সাথে তিনি জড়িত বলে ঢাকার মিডিয়া পাড়ায় চাউর রয়েছে।

সর্বশেষ মাসুদা ভাট্টির মত একজন প্রথিত যশা সাংবাদিককে কুৎসিত ভাষায় কটুক্তি করে নারী সমাজকে খাটো করে অসম্মান করেছে। মঈনুল সব সময়ই মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবিধান পরিপন্থী কাজ করে দেশকে বির্তকিত স্থানে নিয়ে গিয়েছে। আজ মঈনুলের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। সেকারণেই মঈনুলকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দড়িয়ে ঝুলাতে হবে। বক্তরা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে খুলনায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

মানববন্ধন শেষে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *