খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আগামীদিনে জাতির যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে বর্তমানের শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। খুলনা মাহানগরীকে শিশুবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
১০ অক্টোবর বুধবার খুলনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রূপান্তর আয়োজিত শিশুবান্ধব নগরী বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ইউনিসেফ-এর সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন কেএমপি’র সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাজট্রিজ স্কুল-এর প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন গাজী। শিশুবান্ধব নগরী গড়তে করণীয় বিষয়ক আলোচনা করেন ইউনিসেফ, খুলনা’র শিশুসুরক্ষা অফিসার জামিল হাসান, প্রতিযোগীদের পক্ষ থেকে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সরকারি এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী জাসিয়া ইসলাম মিম। স্বাগতঃ বক্তৃতা করেন রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন।
সিটি মেয়র বলেন, ১৯৬১ সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তৈরির আগে খুলনা ছিল পরিকল্পিত শহর। কেডিএ মাস্টার প্ল্যান করলেও সে পরিকল্পনা না মেনে অপরিকল্পিতভাবে নগরী সম্প্রসারিত হবার কারণে এখন খুলনা একটি অপরিকল্পিত নগরে পরিণত হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন আরো তিনটি থানায় সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে সব ধরণের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। নগরীতে কমপক্ষে একটি লেডিস পার্ক এবং বেশ কয়েকটি শিশুপার্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। বর্তমানের শিশু পার্কগুলোতে যাতে শিশুদের বিনোদন ও অবাধ চলাচল নিশ্চিত হয় সে জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনা জেলায় শিশুদের মনোসামাজিক বিকাশে জেলা প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেখ রাসেল ইকো পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যা’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই পার্কে শিশুদের জন্য কর্নার থাকছে।
অনুষ্ঠানে রচনা, কবিতা, গল্প লিখন, চিত্রাঙ্কন, আন্তঃকক্ষ ক্রীড়া ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ