২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশের একমাত্র গণহত্যা-নির্যাতন বিষয়ক জাদুঘর ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর।
আগামী ১১ মে ২০১৮ জাদুঘরের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ। ১৭ মে রমজান শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদিনব্যাপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকালের অধিবেশনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে গবেষক বন্ধন বা লেখক সম্মেলনের। দেশের সকল জেলা থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যারা গবেষণা করছেন তারা অংশগ্রহণ করবেন এই সম্মেলনে। রাজধানী ঢাকার বাইরে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষকদের সম্মেলনের এত বড় আয়োজন এই প্রথম। সম্মিলনী গবেষক বন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সচিব, যশোর শিক্ষা বোর্ড, ড. মোল্লা আমীর হোসেন । প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় , ড. মাহবুবর রহমান, বিশিষ্ট গবেষক মামুন সিদ্দিকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তপন পালিত, চৌধুরী শহিদ কাদের প্রমুখ। অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এসময় খুলনা বিভাগের মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
বিকাল ৪.৩০ মিনিটে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত চতুর্থ শহিদ স্মৃতি স্মারক বক্তৃতা প্রদান করবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। সভাপতিত্ব করবেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। বক্তৃতা শেষে মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাস্ট কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের অনুদান প্রদান করবেন ড. মুনতাসীর মামুন। এরপর জাদুঘর সুহৃদ সভা কর্তৃক আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার সনদপত্র ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সম্মানিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করবেন। জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মারক প্রদান করবেন নড়াইলের একজন মুক্তিযোদ্ধা। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র প্রযোজিত, প্রণব সাহা পরিচালিত তথ্যচিত্র বঙ্গবন্ধুর প্রিয় গান এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করবেন সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ