খুলনায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০১৯ পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে খুলনার নাগরীক সমাজ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় ।

একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে  খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও কেএমপি কমিশনার, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, চেম্বার অব কমার্স, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ, খুলনা প্রেসক্লাবসহ পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শহীদদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি,স্বায়িত্বশাষিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতেই প্রভাতফেরী সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

সকালে নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও  পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

বাদ জোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও দেশের কল্যাণ, শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বিকেলে এ উপলক্ষে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে খুলনা জেলা প্রশাসন অয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় (সার্বিক) কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, উপভূমি সংস্কার কমিশনার রইস উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক শরিফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইশরাত জাহান এবং মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবীর। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, শিক্ষক সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ হাদিস পার্ক এবং জাতিসংঘ পার্কে সন্ধ্যায়  খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতার খুলনা দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *