খুলনায় শীত ও ঘনকুয়াশায় জনজীবন বির্পযস্ত

খুলনায় তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুদিন প্রায় সূর্যের দেখা মেলেনি। হাড় কাপানো শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষেরা পড়েছে চরম বেকায়দায়।শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র মানুষেরা চরম কষ্ট পোহাচ্ছে। এদিকে, শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

আজ রবিবার খুলনায় প্রায় সারাদিন ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল ছিল কম। দুপুরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি নামলে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। নগরীর দোকানপাটগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল কম। কাজের তাগিদে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে শীতের কাপড় গায়ে জড়িয়ে কাজ করতে দেখা যায়। ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবহন চলাচল করতে দেখা যায় লাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ আগুন জালিয়ে শীত নিবারণ করছে। গত শনিবারও ছিল একই চিত্র।

নগরীর শেখপাড়া এলাকার রিকশাচালক বাবুল মিয়া বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গত দুদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত রিকশা চালানো সম্ভব হয়নি।ইজিবাইকচালক ইব্রাহিম বলেন, ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় নামলেই মালিককে দিনে ৫০০টাকা ভাড়া দিতে হয়। তারপর যা থাকে তাই দিয়ে সংসার চলে। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে গত দুদিন রাস্তায় যাত্রী তেমন ছিল না।  ফলে গত দুদিন খুব কষ্টে চলেছে। থ্রি-হুইলার চালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। এক হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। যাত্রী নিয়ে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, কুয়াশার কারণে মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে না। এ কারণে অর্ধেক সবজি বিক্রি হয়নি। মাছ বিক্রেতা উৎপল বিশ^াস বলেন, লোকসানে মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, গতকাল রবিবার খুলনায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঘন কুয়াশা ও মাঝেমধ্যে দু-একফোটা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে শীত একটু বেশি অনুভব হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে মঙ্গলবার নাগাদ ঘন কুয়াশা কেটে যাবে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *