List/Grid

Archive: Page 450

খুলনায় ইজিবাইক চলাচল কে আইনী কাঠামোয় আনা জরুরী

খুলনা মহানগরী এখন ইজিবাইক চালকদের রাম রাজত্বে পরিণত হয়েছে। নগরীতে চলাচলকারী কোন ইজিবাইকেরই বৈধ লাইসেন্স নেই, কোন চালকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই তাদের ন্যুনতম ট্রাফিক আইন জ্ঞানও। ফলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ গণপরিবহনটি এখন চরম বে-পরওয়া ও সেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে, এ অভিযোগ নগরবাসির।
মোঃ ফরিদ একজন ইজিবাইক চালক। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার গাড়ির কোন লাইসেন্স নেই। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি-না জানতে চাইল তিনি বলেন, না নেই। তিনি ট্রাফিক আইন জানেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ না, জানি না।’ একই উত্তর দেন ইজিবাইক চালক আমজাদ ও আব্দুর রহীম। এদের দাবি কোন ইজিবাইক চালকেরই গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এবং তারা কেউই ট্রাফিক আইন জানে না। এ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জ্ঞান ছাড়া তারা কি ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, এসব লাগে না। কেন লাগে না জানতে চাইলে তারা বলেন, গাড়ির লাইসেন্স কেউ দেয় না, আর ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও কেউ কিছু বলে না, তাই এসব লাগে না।
ইজিবাইক’র লাইসেন্স কে দেবে, বিআরটিএ না সিটি কর্পোরেশন এ বিতর্ক চলমান অবস্থায় ২০১১ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন দুই হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করে। এ সময় দুই হাজার লাইসেন্স ওয়ালা ইজিবাইকের বিপরীতে নগরীতে চালু হয় পাঁচ হাজারের অধিক ইজিবাইক। এর এক বছরের মাথায় মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সেগুলির নবায়ন না করা এবং নতুন লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে এক বছর পর নগরীতে চলাচলকারী সকল ইজিবাইকই হয়ে পড়ে অবৈধ।
ইজিবাইক’র লাইসেন্স প্রদান বিতর্কের মিমাংসা না হলেও থেমে নেই নতুন নতুন ইজিবাইকের আগমন। কোন সংস্থার নিয়ন্ত্রন না থাকায় নগরীর রাস্তার ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে নগরীতে ইজিবাইকের সংখ্যা এখন ১২ হাজারের অধিক বলে জানায় একটি সূত্র।
কোন প্রকার লাইসেন্স না থাকায় প্রতি বছর ইজিবাইক মালিকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অর্থাৎ জনগণ। আর কোন সংস্থার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বে-পরওয়া ও সেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে ইজিবাইক চালকগণ।
অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (কেসিসি, পুলিশ) পক্ষ থেকে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হলেও তাদের লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান বা ট্রাফিক আইন বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ প্রদানে এগিয়ে আসে নি কোন সংস্থা, অভিযোগ চালকদের।
খুলনা মহানগরীতে চলাচলকারী ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনেরও কোন সিদ্ধান্ত নেই, কারণ এ বিষয়ে নির্দিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
ইজিবাইক চলাচলে আইন-কানুন ও তাদের নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ কমিশনার, ট্রাফিক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, মোঃ কলিমুল্লা বলেন, বিধিবদ্ধ আইনের প্রয়োগ করা পুলিশের কাজ। পুলিশ স্ব-উদ্যোগে আইন প্রণয়োনের অধিকারী নয়। তিনি বলেন, ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না নিলে পুলিশের বিশেষ কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না হলে যানজট মারাত্মক আকার ধারন করবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
নগরবাসির দাবি, অবশ্যই নগরীর এ গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন কে আইন-কানুনের কাঠামোয় আনতে হবে অন্যথায় সেচ্ছাচারিতার দায়ে তাদের উচ্ছেদ অনিবার্য হয়ে উঠবে যা আরও নতুন শঙ্কটেরই জন্ম দেবে।

সোনালি আঁশ পাট: পর্ব-১

পাট তন্তু জাতীয় উদ্ভিদ। পাট গাছের ছাল থেকে পাটের আঁশ সংগ্রহ করা হয়। আমাদের দেশে পাট কে সোনালি আঁশও বলা হয়। কারণ পাটের আঁশের রঙ সোনালি। পাট থেকে বিভিন্ন প্রকার পাটজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। যেমন- সুতা, থলি, চট, দড়ি, সুতলি, কার্পেট, ত্রিপল, গালিচা, গদি, শিঁকা। এ ছাড়া পাটখড়ি দ্বারা কাগজ, পার্টেক্স, হার্ডবোর্ড ইত্যাদি তৈরী হয়।

খুবিতে ভর্তির আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আজ ২০ সেপ্টেম্বর। আজ শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রিপেইড টেলিটক সিমের মাধ্যমে এসএমএস করে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করা যাবে। ভর্তির আবেদনসহ বিস্তারিত তথ্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে (www.ku.ac.bd) পাওয়া যাবে।

খুলনায় ছয় শিবিরকর্মী সহ জামায়াত নেত্রী গ্রেপ্তার

গোপন বৈঠককালে খুলনা মহানগরী থেকে আজ সকালে ছয় শিবিরকর্মী সহ জামায়াত নেত্রী হুমায়রা বেগম কে আটক করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

কেসিসি মেয়রের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরম্নজ্জামান বলেছেন, ‘গুণগত মান বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এ্যাসফল্ট প্লান্টের গুরুত্ব অপরিসীম। এ গুরুত্ব অনুধাবন করে কেসিসি’র উদ্যোগে আরো একটি আধুনিক এ্যাসফল্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার করে আমরা পরিকল্পিতভাবে খুলনাকে সুন্দর নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

ভেজাল বিরোধী অভিযানে খুলনা মহাগরীতে ছয় টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গতকালখুলনা মহানগরীর শেখপাড়া, পশ্চিম বানিয়া খামার ও গোবরচাকা এলাকার ছয় টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।