List/Grid

Archive: Page 449

কেসিসি মেয়রের সিটি বিউটিফিকেশন সেলের কার্যক্রম পরিদর্শন

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেছেন, নতুন নতুন ভাস্কর্য, সৌন্দর্য্যমন্ডিত সড়কদ্বীপ ও পর্যাপ্ত ফোয়ারা নির্মাণের মাধ্যমে খুলনা কে সুন্দর দৃষ্টিনন্দন নগরীতে পরিণত করা দরকার। সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য বিনোদন পার্ক সহ বাগিচা নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশন বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে

জালনোট প্রতিরোধ সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

জালনোট প্রচলন প্রতিরোধ সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির ১২৯ তম নিয়মিত ত্রৈ-মাসিক পর্যালোচনা সভা আজ দুপুরে খুলনা বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার মহাব্যবস্থাপক ও জালনোট প্রচলন প্রতিরোধ সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রকাশ চন্দ্র ভদ্র

একটি মটর সাইকেলের হেলমেট ৩৭ হাজার টাকা !

আজব হলেও গুজব নয়। একটি মটর সাইকেলের হেলমেটের দাম ৩৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) এক প্রকৌশলির বিরুদ্ধে মটর সাইকেলের হেলমেট ক্রয়ে এমনই অনিয়ম ধরা পড়েছে।তিনি একটি হেলমেটের দাম দেখিয়েছেন ৩৭ হাজার টাকা । ইনি হচ্ছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সেলিমূল আল আজাদ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নগর ভবনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫’এর আলোকে তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধে করণীয় শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালা আজ খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সোনালি আঁশ পাট: পর্ব-২

রোপনের সময়ের ওপর ভিত্তি করে তোষা পাটকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। বৈশাখমাসি (১৫ থেকে পরবর্তী সময়) জাত, যথাঃ ও-৪ এবং ফাল্গুন-চৈত্রমাসি (১০ মার্চ থেকে পরবর্তী সময়) জাতঃ ও-৯৮৯৭ এবং ওএম-১।

বৈশাখমাসি (১৫ থেকে পরবর্তী সময়) জাতঃ ও-৪

খুলনায় ইজিবাইক চলাচল কে আইনী কাঠামোয় আনা জরুরী

খুলনা মহানগরী এখন ইজিবাইক চালকদের রাম রাজত্বে পরিণত হয়েছে। নগরীতে চলাচলকারী কোন ইজিবাইকেরই বৈধ লাইসেন্স নেই, কোন চালকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই তাদের ন্যুনতম ট্রাফিক আইন জ্ঞানও। ফলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ গণপরিবহনটি এখন চরম বে-পরওয়া ও সেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে, এ অভিযোগ নগরবাসির।
মোঃ ফরিদ একজন ইজিবাইক চালক। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার গাড়ির কোন লাইসেন্স নেই। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি-না জানতে চাইল তিনি বলেন, না নেই। তিনি ট্রাফিক আইন জানেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ না, জানি না।’ একই উত্তর দেন ইজিবাইক চালক আমজাদ ও আব্দুর রহীম। এদের দাবি কোন ইজিবাইক চালকেরই গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এবং তারা কেউই ট্রাফিক আইন জানে না। এ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জ্ঞান ছাড়া তারা কি ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, এসব লাগে না। কেন লাগে না জানতে চাইলে তারা বলেন, গাড়ির লাইসেন্স কেউ দেয় না, আর ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও কেউ কিছু বলে না, তাই এসব লাগে না।
ইজিবাইক’র লাইসেন্স কে দেবে, বিআরটিএ না সিটি কর্পোরেশন এ বিতর্ক চলমান অবস্থায় ২০১১ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন দুই হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করে। এ সময় দুই হাজার লাইসেন্স ওয়ালা ইজিবাইকের বিপরীতে নগরীতে চালু হয় পাঁচ হাজারের অধিক ইজিবাইক। এর এক বছরের মাথায় মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সেগুলির নবায়ন না করা এবং নতুন লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে এক বছর পর নগরীতে চলাচলকারী সকল ইজিবাইকই হয়ে পড়ে অবৈধ।
ইজিবাইক’র লাইসেন্স প্রদান বিতর্কের মিমাংসা না হলেও থেমে নেই নতুন নতুন ইজিবাইকের আগমন। কোন সংস্থার নিয়ন্ত্রন না থাকায় নগরীর রাস্তার ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে নগরীতে ইজিবাইকের সংখ্যা এখন ১২ হাজারের অধিক বলে জানায় একটি সূত্র।
কোন প্রকার লাইসেন্স না থাকায় প্রতি বছর ইজিবাইক মালিকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অর্থাৎ জনগণ। আর কোন সংস্থার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বে-পরওয়া ও সেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে ইজিবাইক চালকগণ।
অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (কেসিসি, পুলিশ) পক্ষ থেকে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হলেও তাদের লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান বা ট্রাফিক আইন বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ প্রদানে এগিয়ে আসে নি কোন সংস্থা, অভিযোগ চালকদের।
খুলনা মহানগরীতে চলাচলকারী ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনেরও কোন সিদ্ধান্ত নেই, কারণ এ বিষয়ে নির্দিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
ইজিবাইক চলাচলে আইন-কানুন ও তাদের নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ কমিশনার, ট্রাফিক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, মোঃ কলিমুল্লা বলেন, বিধিবদ্ধ আইনের প্রয়োগ করা পুলিশের কাজ। পুলিশ স্ব-উদ্যোগে আইন প্রণয়োনের অধিকারী নয়। তিনি বলেন, ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না নিলে পুলিশের বিশেষ কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না হলে যানজট মারাত্মক আকার ধারন করবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
নগরবাসির দাবি, অবশ্যই নগরীর এ গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন কে আইন-কানুনের কাঠামোয় আনতে হবে অন্যথায় সেচ্ছাচারিতার দায়ে তাদের উচ্ছেদ অনিবার্য হয়ে উঠবে যা আরও নতুন শঙ্কটেরই জন্ম দেবে।